শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ইনসাফ নগর মাঃ বিঃ নিয়োগ বানিজ্য শিরোনামের সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ইনসাফ নগর মাঃ বিঃ নিয়োগ বানিজ্য শিরোনামের সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি

 কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অবস্থিত ইনসাফনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির বর্তমান সভাপতি মেহেদী হাসান এর নামে নিয়োগ বাণিজ্য অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের তথ্যে প্রকাশিত সংবাদ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি।(১০নভেম্বর)শুক্রবার বেলা ১১টায় লিখিত এক অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন এবং তিনি বলেন। 



কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা এবং কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সভাপতি কে জড়িয়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, স্থানীয় একটি দুষ্টচক্র বিদ্যালয়ের উন্নয়ন-অগ্রগতি ব্যাহত করতে এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিহীন অভিযোগের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। বাস্তবে ওই সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। চক্রটি তথাকথিত কতিপয় হলুদ সাংবাদিক ব্যবহার করে এ জঘন্যতম মানহানিকর কাজটি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের অনুসন্ধানী চোখে এ ষড়যন্ত্রকারী গ্রুপের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিসাধনের জন্য যারা এমন জঘন্য নিন্দনীয় কাজটি করে চলেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর একটি কুষ্টিয়ার স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সহ কিছু অনলাইন পত্রিকাতে সভাপতি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অত্র বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে পাঁচজনকে নিয়োগ প্রদানের মিথ্যা অভিযোগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে একইদিন অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি কর্তৃক দৈনিক অপরাধ তল্লাশি সহ বেশ কিছু জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এর লিখিত একটি প্রতিবাদ দেন।

সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩

ইসলাম কেন সেরা

ইসলাম কেন সেরা

 একজন ইহুদি ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও বিশুদ্ধ নারী অন্য কোন ধর্মে নেই।

পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের (Albert Einstein Institution) সাথে যুক্ত একজন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ, ইহুদি পেশাদার রবার্ট, তার ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। যার একমাত্র কারণ ছিল, কুরআনে উল্লেখিত তালাক প্রাপ্ত নারীর ইদ্দতের আদেশ সম্পর্কিত আয়াত এবং ইদ্দতের জন্য তিন মাসের সীমা নির্ধারণের পেছনের রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে অবগতি।



আল্লাহ তায়ালা কোনো তালাক প্রাপ্ত নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তিন মাসের একটি গ্যাপ রাখতে বলেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, 

وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ  

অর্থাৎ 'তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে' (সূরা আল-বাকারাহ ২২৮:২) 

এই আয়াতটি একটি আধুনিক জ্ঞান ডিএনএ এর উদ্ভাবনের রাস্তা সুগম করেছে এবং দেখা গেছে যে একজন পুরুষের বীর্যে থাকা প্রোটিন অন্য পুরুষের থেকে ৬২% পৃথক ও ভিন্ন থাকে। 

আর একজন নারীর শরীর একটি কম্পিউটারের মত। যখন একজন পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করে তখন সেই নারীর শরীর সব ব্যাকটেরিয়াকে শোষণ করে এবং তার শরীরে তা ধারণ করে। 

অতএব, বিবাহ বিচ্ছেদের পরপরই, যদি একজন মহিলা অন্য পুরুষকে বিয়ে করেন বা একই সাথে বেশ কয়েকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ জমা হয় যা বিপজ্জনক ভাইরাসের রূপ নেয় এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ হয়।


বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখে যে, প্রথম মাসিক আসার পর একজন মহিলার শরীর থেকে ৩২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত প্রোটিন শেষ হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় মাসিক আসার পর তার শরীর থেকে ৬৭ থেকে ৭২% ডিএনএ ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তৃতীয় মাসিকের পর ৯৯.৯% পর্যন্ত প্রোটিন নির্মূল হয়ে যায়। এরপর জরায়ু আগের ডিএনএ থেকে সম্পন্নরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নতুন ডিএনএ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।

একজন গণিকা অনেক মানুষের সাথে সঙ্গম করে, যার ফলে বিভিন্ন পুরুষের ব্যাকটেরিয়া তার জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ তার মধ্যে জমা হয় এবং সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। 


বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো, তার ইদ্দত তালাকপ্রাপ্ত মহিলার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন। 

এর কারণ হলো দুঃখ ও দুশ্চিন্তার কারণে তার শরীর থেকে প্রাক্তন ডিএনএ দ্রুত শেষ হয় না, এটি শেষ হতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর এ জন্য মহিলাদের ইদ্দত চার মাস দশ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, 

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ 

অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে।' (আল-বাকারাহ, ২৩৪)


এই সত্যের মুখোমুখি হয়ে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন স্থানে গবেষণা পরিচালনা করেন।

এক. আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলমানরা যে মহল্লায় থাকেন, সেই সব নারীর ভ্রূণের মধ্যে মাত্র একজন স্বামীর ডিএনএ পাওয়া গেছে। 

দুই. অন্য মহল্লা যেখানে আসল আমেরিকান মহিলারা থাকেন, তাদের ভ্রূণের মধ্যে একাধিক অর্থাৎ দুই বা তিন জনের বেশি পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে।

অতঃপর যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার নিজ স্ত্রীর ভ্রূণ ​​পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি একটি মর্মান্তিক সত্য দেখতে পান যে, তার স্ত্রীর মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ আছে। যার অর্থ হলো তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করছিল এবং তার তিন সন্তানের মধ্যে কেবল মাত্র একজন ছিল তার নিজ সন্তান, বাকিরা ছিল অন্য পুরুষ থেকে। 


ডাক্তার তখন নিশ্চিত হন যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদের নিরাপত্তা এবং সমাজের সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দেয়। এবং এই বিষয়েও নিশ্চিত হন যে, একমাত্র মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ ও সতী।

والله ورسوله اعلم عزوجل وصل الله عليه وسلم

ইসলামে একজন মহিলার জন্য এক‌ই সময়ে একাধিক বিয়ে বা একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি কেন!

অবশেষে বিজ্ঞানও আল কুরআনের বিধানের নির্ভুল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলো: -------------------------------------------------

(সংগৃহীত)

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩

ক্যান্সার আক্রান্ত শামীমার বাঁচার আকুতি

ক্যান্সার আক্রান্ত শামীমার বাঁচার আকুতি


 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টানাপোড়েনের সংসারে তিন কন্যা সন্তানের মা শামীমা খাতুনের শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। সর্বস্ব বিক্রি করে কোনমতে চলছে চিকিৎসা। কিন্তু সে চিকিৎসা যথেষ্ট নয়। 


উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন মোটা অংকের টাকা। যা তাঁর সবকিছু বিক্রি করে দিয়েও যোগাড় করা একেবারেই সম্ভব হয়নি। তাই তিনি জীবন বাঁচাতে দেশবাসী ও দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

শাশীমা খাতুন (৩৫) ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানাধীন তৈলটুপি গ্রামের টিপুর স্ত্রী। 

শামীমা ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। টিপু-শামীমার সংসারে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বড়ো মেয়ে  শ্রেণির ছাত্রী, মেজো মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট মেয়েটার বয়স ৩ বছর। শামীমার স্বামী একজন বর্গা চাষী। পরের জমি বর্গায় চাষ করে কোনমতে চলছিল  তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করেই বিধি যেন বাম হয়ে দাঁড়ায়! শামীমার শরীরে সনাক্ত হয় মরণব্যাধি ক্যান্সার। যেখানে যা ছিলো তাই বিক্রি করে শুরু হয় চিকিৎসা।এরপর আত্মীয় স্বজনের সাধ্য মতো সাহায্যেও কিছুদিন চিকিৎসা চলে। কিন্তু ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় সর্বস্ব বিক্রি ও স্বজনদের সহযোগিতায় আর কুল পাচ্ছে না। শামীমা ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।সেখানে প্রতিবার কেমোথেরাপি নিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এমতাবস্থায় জীবন বাঁচাতে দেশবাসী,প্রবাসী  এবং দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা জানিয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ক্যান্সার আক্রান্ত শামীমা। 


শামীমাকে সাহায্য পাঠাতে নিম্নোক্ত নম্বর যোগাযোগ করুন।

বিকাশ (পার্সোনাল)  ০১৩২০৬৩২৫২১। 

ব্যাংক হিসাব নম্বর : 20507770205275675, ইসলামি ব্যাংক,কুষ্টিয়া শাখা।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩

জুমআ'র নামাযের বিবরণ

জুমআ'র নামাযের বিবরণ

জুমআ'র নামাযের বিবরণ


সপ্তাহের শুক্রবার দিনে যোহরের ওয়াক্তে জুমআর নামায জামাআতে পড়া ফরয । জুমআ'র দিন গোসল করা , পরিষ্কার - পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করা , সুগন্ধি জিনিস ব্যবহার করা মোস্তাহাব । জুমআ'র নামায পড়া প্রত্যেক বালেগ , সুস্থ , মুকীম ও স্বাধীন মুসলমান পুরুষের উপর ফরয ।

জুমার নামাজ 


জুমআ'র নামায পড়ার নিয়ম : জুমআ'র নামায ২০ রাকআতের মধ্যে সর্বপ্রথম তাহিয়্যাতুল অযু ও তৎপর দুখুলুল মসজিদ ( সুন্নতে গায়রে মোআক্কাদা ) দুই রাকআত নামায পড়িতে হয় । তাহিয়্যাতুল অযু ও দুখুলুল মসজিদ আদায়ের জন্য জুমআর দিনের কোন বিশেষত্ব নাই । অন্য সময়েও যখনই অযু করিবে বা মসজিদে প্রবেশ করিবে তখনই এই নামায পড়া সুন্নত ।


তাহিয়্যাতুল অযু ও দুখুলুল ‘ মসজিদ দুই দুই রাকআত পড়িবার পর চারি রাকআত কাবলাল জুমআ পড়িতে হইবে , ইহা সুন্নতে মোআক্কাদা । তৎপর দুই রাকআত ফরয নামায জামাআতের সহিত আদায় করিবার পর চারি রাকআত বাদাল জুমআ পড়িতে হইবে । ইহাও সুন্নতে মোআক্কাদা । তৎপর চারি রাকআত আখেরী যোহর পড়ার প্রচলন থাকিলেও বর্তমানে ইহা নিষ্প্রয়োজন । তৎপর দুই রাকআত সুন্নতুল ওয়াক্ত পড়িতে হয় , ইহা সুন্নত ।


অযু কিভাবে করতে হয়?  অযু ভঙ্গের কারণ ও অযু করার পদ্ধতি জেনে নিন।

অযু কিভাবে করতে হয়? অযু ভঙ্গের কারণ ও অযু করার পদ্ধতি জেনে নিন।

অযু

          শরীর পবিত্র করিবার নিয়তে পাক পানি দ্বারা শরীয়তের কানুন অনুযায়ী নির্দিষ্ট অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ ধৌত করার নামই অযু । যে পানি দিয়া অযু করিবে তাহা অবশ্যই পবিত্র হইবে । যেমন - নদী ও খাল ইত্যাদি প্রবাহিত পানি এবং নৃপ , পুকুর , বরফ ও ঝর্ণার পানি ইত্যাদি ।

অযু করার পদ্ধতি 


অযুর প্রকারভেদ


অযু তিন প্রকার : যথা- ১ ম , ফরয , যেমন- নামাযের জন্য অযু করা ২ য় , ওয়াজিব , যেমন- তাওয়াফ করার জন্য অযু করা ৩ য় , মোস্তাহাব যেমন মুখস্থ কোরআন তেলাওয়াতের জন্য , নিদ্রা যাইবার জন্য , গোসলের জন্য , সর্বদাই অযুর সহিত থাকিবার জন্য অযু করা ।


অযুর ফরয


অযুতে চারি ফরয ১। মুখমণ্ডল ধৌত করা ( অর্থাৎ কপালের উপরিভাগ হইতে থুতনির নীচ পর্যন্ত , এক কানের লতি হইতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত ধৌত করা ) । ২ কনুইসমেত দুই হাত ধৌত করা । ৩। মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা । ৪ দুই পায়ের গিরা পর্যন্ত ধৌত করা ।


অযুর সুন্নত


১। অয়ুর প্রারম্ভে বিসমিল্লাহ বলা , ২। উভয় হাত কব্‌জি পর্যন্ত তিনবার ধোয়া , ৩। মেসওয়াক করা , ৪। তিনবার কুলি করা , ৫। তিনবার নাকের ছিদ্রে দক্ষিন হস্ত দ্বারা পানি প্রবেশ করাইয়া বাম হাত দ্বারা ঝাড়িয়া ফেলা , ৬। সমস্ত মুখমন্ডল তিনবার ধোয়া ; ৭। কনুইসহ দুই হাত তিনবার ধোয়া । ৮। সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা , ৯। দুই কান একবার মাসেহ করা , ১০। গিরাসহ দুই পা তিনবার ধোয়া , ১১। উভয় হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলি খেলাল করা , ১২। এক অঙ্গ শুকাইবার পূর্বেই অন্য অঙ্গ ধোয়া । ১৩। তরতীব মত অযু করা , ১৪। নিয়ত করা ।


অযু ভঙ্গের কারণসমূহ


১। প্রস্রাব - পায়খানার রাস্তা দিয়া মলমূত্র বাহির হইলে , ২। রক্ত বা পুঁ বাহির হইয়া গড়াইয়া পড়িলে , ৩। বায়ু নির্গত হইলে , ৪। ক্রিমি বাহির হইলে

 ৫। বমি হইলে , ৬। কোন বস্তুর সাথে ঠেস দিয়া বা চিত , কাত হইয়া ঘুমাইলে , ৭। বেহুশ হইলে , ৮। পাগল বা মাতাল হইলে এবং ৯। নামাযের মধ্যে আওয়াজ করিয়া হাসিলে ।



অযুর মোস্তাহাব


১। ডান দিক হইতে অযু আরম্ভ করা , ২। কেবলামুখী বসিয়া অযু করা , ৩। অযুতে অন্য লোক হইতে সাহায্য না লওয়া , । ৪। নামাযের ওয়াক্ত আসার পূর্বে অযু করা , ৫। অযুর সময় কথা না বলা , ৬। উঁচু স্থানে বসিয়া অযু করা , ৭। অযুর নিয়ত মুখে বলা , ৮। অযুর অঙ্গ ভালরূপে মর্দন করিয়া ধোয়া , ৯ । আংটি কিংবা গহনা হেলাইয়া দেওয়া , ১০। ঘাড় মাসেহ করা , ১১ । প্রয়োজনের বেশী পানি খরচ না করা , ১২। অযুর শেষে দুরূদ ও কালেমা শাহ পদাত পড়া , ১২। অযুর শেষে দাঁড়াইয়া অবশিষ্ট পানির কিছু পান করা ।


অযুর মাকরূহ সমূহ


( ১ ) মুখ ধৌত করার সময় মুখে জোরে পানি নিক্ষেপ করা । ( ২ ) নূতন পানি দ্বারা তিনবার মাথা মাসেহ করা । ( ৩ ) বিনা ওযরে কুলি ও নাকে পানি বাম হাতে দেওয়া । ( ৪ ) ডান হাতে নাক সাফ করা । ( ৫ ) অযুর কোন পাত্র নিজের জন্য নির্দিষ্ট করিয়া লওয়া ( সেইরূপ মসজিদে কোন স্থান নিজের জন্য নির্দিষ্ট করিয়া লওয়াও মাকরুহ ) । ( ৬ ) অযুর কোন অঙ্গ তিন বারের কম বেশী ধৌত করা । ( ৭ ) পানি অপব্যয় করা ।


অযুর নিয়তঃ

উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আতাওয়াযযাআ লিরাফইল হাদাসি ওয়াসতিবাহাতাল্লিসসালাতি ওয়া তাকাররুবান ইলাল্লাহি তাআ'লা ।


অর্থঃ নাপাকী দূর করিবার জন্য ও নামায শুদ্ধভাবে পড়িবার জন্য এবং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের জন্য অযু করিতেছি ।

অযু শুরুর দোয়া


উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল আ'লিয়্যিল আ'যীম ওয়ালহামদু লিল্লাহি আ'লা দীনিল ইসলামি আল ইসলামু হাককুন ওয়াল কুফরু বাতিলুন ।


অর্থ  ঃ সর্বশ্রেষ্ঠ আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করিতেছি এবং ইসলাম ধর্মের জন্য সম্যক প্রশংসাই আল্লাহ্র উপযুক্ত । কেননা , ইসলাম সত্য ও কুফর ( অবিশ্বাসী ) মিথ্যা এবং ইসলাম জ্যোতির্ময় এবং কুফর অন্ধকারময় ।


অযুর শেষে দোআ


اللهم اجعلني من التوابين واجعلني من المتطهرين واجعلني من عبادك الصلحين سبحانك وأتوب إليك *


উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজআ'লনী মিনাত্তাওয়াবীনা ওয়াজআ'লনী মিনাল মুতাতাহিরীনা ওয়াজআ’লনী মিন ই'বাদিকাসসালিহীনা সোবহানাকা ওয়া আতুবু ইলাইকা ।


অর্থ : হে খোদা ! আমাকে তওবাকারীদের মধ্যে শামিল কর এবং একজন পবিত্র লোক বানাও এবং তোমার একজন সৎ বান্দা হিসাবে গণ্য কর । তুমি পবিত্র , তোমার নিকট তওবা করিতেছি ।


অযু করিবার নিয়ম


( ১ ) পায়খানা - পেশাবের হাজত থাকিলে দূর করিয়া , গোসল দরকার হইলে গোসল করিয়া কেবলামুখী হইয়া উঁচু স্থানে বসিবে । তারপর বিসমিল্লাহসহ অযুর নিয়ত করত অযু আরম্ভ করিবে এবং মনে মনে অযুর দোয়া পাঠ করিবে ।



শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩

রক্তচাপ কি?  রক্তচাপের কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা জেনে নিন।  (blood pressure)

রক্তচাপ কি? রক্তচাপের কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা জেনে নিন। (blood pressure)

 রক্তচাপ কি ( blood pressure) কি?

১। রক্তনালির (blood vessel)  উপর রক্ত কর্তৃক প্রযুক্ত চাপকে রক্তচাপ (blood pressure) বলে।

২। প্রতিটি সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ (সিস্টোলিক)  এবং৷ সর্বনিম্ন চাপ ডায়াস্টোলিক বলা হয়। 

উচ্চ রক্তচাপ কি


৩। হৃদপিণ্ডের অতিরিক্ত সংকোচন প্রবণতাই রক্তচাপের কারণ।  এটি সাধারণত উর্ধবাহুর ব্রাকিয়াল ধমনিতে মাপা হয়।

৪। রক্তচাপ সব সময় সিস্টোলিক চাপ উপরে এবং ডায়াস্টোলিক চাপ নিচে লিখে প্রকাশ করা হয়।  যেমনঃ ১২০/৮০ একজনে স্বাভাবিক ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়।

ব্লাড প্রেশারের একক মি.মি. পারদ।

উচ্চ রক্তচাপ /হাইপারটেনশন(Hypertension) সম্পর্কে জেনে নিই।

হাইপারটেনশন / উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) হলো একটি রোগ যখন কোন ব্যক্তির রক্তের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে উর্ধ্বে থাকে। 

এ রোগের ধরণ__ এটি দু-ধরনের হতে পারে সেগুলো হলো

১। প্রাথমিক  /primary Hypertension:

 যখন হাইপারটেনশন এর কোন নির্দিষ্ট কারণ পাওয়া  যায়না তখন তাকে  প্রাথমিক primary Hypertension হিসেবে ধরা হয়।  প্রায় ৯৫ % ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক হাইপারটেনশন বলে চিহ্নিত করা হয়। 

২। সেকেন্ডারি (secondary) হাইপারটেনশন

 নির্দিষ্ট কারণ  শনাক্ত করা না গেলে  তাকে সেকেন্ডারি secondary হাইপারটেনশন শ্রেণীভুক্ত করা হয়।  নির্দিষ্ট কারণের মাঝে আছে কিডনি রোগ,থাইরয়েড /প্যারাথায়রয়েড গ্রন্থির জটিলতা ইত্যাদি। 

উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা বা করণীয়ঃ

১) রোগী চেয়ারে পেছনে হেলান দিয়ে বসে, দুই হাত টেবিলের উপর থাকবে। রোগীর হাত এমনভাবে রাখতে হবে হার্টের সমতলে থাকে।  হাফ হাতা অথবা ঢিলেঢালা জামা পরা ভালো।  জামার হাতা ভাজ দিয়ে রাখার সময় যেন টাইট না হয়ে যায়।  এরপর রক্তচাপ মেপে দেখতে হবে যদি বেশি হয় রোগী কে বাতাসের নীচে স্থির অবস্থায় থাকবে এবং এ সময়ের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাক্তারে ফলোআপে থাকবেন।