স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩

ক্যান্সার আক্রান্ত শামীমার বাঁচার আকুতি

ক্যান্সার আক্রান্ত শামীমার বাঁচার আকুতি


 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টানাপোড়েনের সংসারে তিন কন্যা সন্তানের মা শামীমা খাতুনের শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। সর্বস্ব বিক্রি করে কোনমতে চলছে চিকিৎসা। কিন্তু সে চিকিৎসা যথেষ্ট নয়। 


উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন মোটা অংকের টাকা। যা তাঁর সবকিছু বিক্রি করে দিয়েও যোগাড় করা একেবারেই সম্ভব হয়নি। তাই তিনি জীবন বাঁচাতে দেশবাসী ও দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

শাশীমা খাতুন (৩৫) ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানাধীন তৈলটুপি গ্রামের টিপুর স্ত্রী। 

শামীমা ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। টিপু-শামীমার সংসারে তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বড়ো মেয়ে  শ্রেণির ছাত্রী, মেজো মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট মেয়েটার বয়স ৩ বছর। শামীমার স্বামী একজন বর্গা চাষী। পরের জমি বর্গায় চাষ করে কোনমতে চলছিল  তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করেই বিধি যেন বাম হয়ে দাঁড়ায়! শামীমার শরীরে সনাক্ত হয় মরণব্যাধি ক্যান্সার। যেখানে যা ছিলো তাই বিক্রি করে শুরু হয় চিকিৎসা।এরপর আত্মীয় স্বজনের সাধ্য মতো সাহায্যেও কিছুদিন চিকিৎসা চলে। কিন্তু ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় সর্বস্ব বিক্রি ও স্বজনদের সহযোগিতায় আর কুল পাচ্ছে না। শামীমা ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।সেখানে প্রতিবার কেমোথেরাপি নিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এমতাবস্থায় জীবন বাঁচাতে দেশবাসী,প্রবাসী  এবং দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা জানিয়েছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ক্যান্সার আক্রান্ত শামীমা। 


শামীমাকে সাহায্য পাঠাতে নিম্নোক্ত নম্বর যোগাযোগ করুন।

বিকাশ (পার্সোনাল)  ০১৩২০৬৩২৫২১। 

ব্যাংক হিসাব নম্বর : 20507770205275675, ইসলামি ব্যাংক,কুষ্টিয়া শাখা।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩

ডায়াবেটিস কি? কেন হয়?  নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও চিকিৎসা পদ্ধতি

ডায়াবেটিস কি? কেন হয়? নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও চিকিৎসা পদ্ধতি

 ডায়াবেটিস

যখন মানুষের রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার অতিরিক্ত পরিমানে শর্করা ( Blood Sugar ) অনেক দিন যাবৎ থেকে থাকে , তখন সেই অবস্থাকে ডায়াবেটিস ( Diabetes ) বলা হয় । ডায়াবেটিস রোগে সাধারণত : শরীরের শর্করা ব্যবহার ও সঞ্চয় প্রক্রিয়া ব্যাঘাত হয় , যার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ  বেড়ে যায় ।


ডায়াবেটিস


ডায়াবেটিস দুই ধরণের হয়ে থাকে :


টাইপ ১ , যেখানে অগ্ন্যাশয় ( Pancreas ) থেকে ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা একেবারে বন্ধ হয়ে যায় , ফলে রোগীকে ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয় ।


প্রাসান এইচ  টাইপ ২ , যেখানে অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরী করতে পারে , কিন্তু তা পর্যাপ্ত পরিমাণে না , কিংবা ইনসুলিন যথাযথ ভাবে কাজ করতে পারে না ।


ডায়াবেটিস এর কিছু গুরুত্বপর্ণ লক্ষণ হলো :


ঘন ঘন ক্ষুধা পাওয়া , ঘন ঘন তৃষ্ণা , ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া , অস্বাভাবিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া , দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া / দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা , ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া ।


ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলো রক্ত শর্করা পরীক্ষা , যা প্রত্যেক লিটার রক্তে কত মিলিমোল ( mmol / L ) শর্করা আছে নির্ণয় করে ।


মূলত : নিম্নোক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়। পরীক্ষা  স্বাভাবিক মাত্রা  ডায়াবেটিস মাত্রা

খালি পেটে

৭ মি : মোল / লিটার এর বেশি ( < 9 mmol / L )


( Fasting Blood Glucose )  ( ৩.৬-৫.৫ mmol / L )


যেকোন সময় ( Random Blood Glucose )  | ৭ মি : মোল / লিটার এর কম ১১ মি : মোল / লিটার এর বেশি । ( < 9 mmol / L ) < ১১ mmol / L )


শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩

রক্তচাপ কি?  রক্তচাপের কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা জেনে নিন।  (blood pressure)

রক্তচাপ কি? রক্তচাপের কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা জেনে নিন। (blood pressure)

 রক্তচাপ কি ( blood pressure) কি?

১। রক্তনালির (blood vessel)  উপর রক্ত কর্তৃক প্রযুক্ত চাপকে রক্তচাপ (blood pressure) বলে।

২। প্রতিটি সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ (সিস্টোলিক)  এবং৷ সর্বনিম্ন চাপ ডায়াস্টোলিক বলা হয়। 

উচ্চ রক্তচাপ কি


৩। হৃদপিণ্ডের অতিরিক্ত সংকোচন প্রবণতাই রক্তচাপের কারণ।  এটি সাধারণত উর্ধবাহুর ব্রাকিয়াল ধমনিতে মাপা হয়।

৪। রক্তচাপ সব সময় সিস্টোলিক চাপ উপরে এবং ডায়াস্টোলিক চাপ নিচে লিখে প্রকাশ করা হয়।  যেমনঃ ১২০/৮০ একজনে স্বাভাবিক ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়।

ব্লাড প্রেশারের একক মি.মি. পারদ।

উচ্চ রক্তচাপ /হাইপারটেনশন(Hypertension) সম্পর্কে জেনে নিই।

হাইপারটেনশন / উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) হলো একটি রোগ যখন কোন ব্যক্তির রক্তের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে উর্ধ্বে থাকে। 

এ রোগের ধরণ__ এটি দু-ধরনের হতে পারে সেগুলো হলো

১। প্রাথমিক  /primary Hypertension:

 যখন হাইপারটেনশন এর কোন নির্দিষ্ট কারণ পাওয়া  যায়না তখন তাকে  প্রাথমিক primary Hypertension হিসেবে ধরা হয়।  প্রায় ৯৫ % ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক হাইপারটেনশন বলে চিহ্নিত করা হয়। 

২। সেকেন্ডারি (secondary) হাইপারটেনশন

 নির্দিষ্ট কারণ  শনাক্ত করা না গেলে  তাকে সেকেন্ডারি secondary হাইপারটেনশন শ্রেণীভুক্ত করা হয়।  নির্দিষ্ট কারণের মাঝে আছে কিডনি রোগ,থাইরয়েড /প্যারাথায়রয়েড গ্রন্থির জটিলতা ইত্যাদি। 

উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা বা করণীয়ঃ

১) রোগী চেয়ারে পেছনে হেলান দিয়ে বসে, দুই হাত টেবিলের উপর থাকবে। রোগীর হাত এমনভাবে রাখতে হবে হার্টের সমতলে থাকে।  হাফ হাতা অথবা ঢিলেঢালা জামা পরা ভালো।  জামার হাতা ভাজ দিয়ে রাখার সময় যেন টাইট না হয়ে যায়।  এরপর রক্তচাপ মেপে দেখতে হবে যদি বেশি হয় রোগী কে বাতাসের নীচে স্থির অবস্থায় থাকবে এবং এ সময়ের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাক্তারে ফলোআপে থাকবেন।