শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩

ডায়াবেটিস কি? কেন হয়? নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও চিকিৎসা পদ্ধতি

 ডায়াবেটিস

যখন মানুষের রক্তে স্বাভাবিক মাত্রার অতিরিক্ত পরিমানে শর্করা ( Blood Sugar ) অনেক দিন যাবৎ থেকে থাকে , তখন সেই অবস্থাকে ডায়াবেটিস ( Diabetes ) বলা হয় । ডায়াবেটিস রোগে সাধারণত : শরীরের শর্করা ব্যবহার ও সঞ্চয় প্রক্রিয়া ব্যাঘাত হয় , যার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ  বেড়ে যায় ।


ডায়াবেটিস


ডায়াবেটিস দুই ধরণের হয়ে থাকে :


টাইপ ১ , যেখানে অগ্ন্যাশয় ( Pancreas ) থেকে ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা একেবারে বন্ধ হয়ে যায় , ফলে রোগীকে ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয় ।


প্রাসান এইচ  টাইপ ২ , যেখানে অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরী করতে পারে , কিন্তু তা পর্যাপ্ত পরিমাণে না , কিংবা ইনসুলিন যথাযথ ভাবে কাজ করতে পারে না ।


ডায়াবেটিস এর কিছু গুরুত্বপর্ণ লক্ষণ হলো :


ঘন ঘন ক্ষুধা পাওয়া , ঘন ঘন তৃষ্ণা , ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া , অস্বাভাবিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া , দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া / দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা , ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া ।


ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলো রক্ত শর্করা পরীক্ষা , যা প্রত্যেক লিটার রক্তে কত মিলিমোল ( mmol / L ) শর্করা আছে নির্ণয় করে ।


মূলত : নিম্নোক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়। পরীক্ষা  স্বাভাবিক মাত্রা  ডায়াবেটিস মাত্রা

খালি পেটে

৭ মি : মোল / লিটার এর বেশি ( < 9 mmol / L )


( Fasting Blood Glucose )  ( ৩.৬-৫.৫ mmol / L )


যেকোন সময় ( Random Blood Glucose )  | ৭ মি : মোল / লিটার এর কম ১১ মি : মোল / লিটার এর বেশি । ( < 9 mmol / L ) < ১১ mmol / L )



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

ধন্যবাদ, শেয়ার করুন।