কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এগারসিন্দুর ট্রেনের সঙ্গে কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রেনের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
![]() |
দূর্ঘটনা স্থলের ছবি |
আজ সোমবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরমান রাত পৌন ৮টার দিকে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের নিচে এখনো অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোতে অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। দুর্ঘটনার পর সাড়ে ৭টায় মালবাহী ট্রেনটি সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার কাজ চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজে যোগ দিতে ঢাকা সদর দপ্তর থেকে ২৩ জন, নরসিংদী থেকে ১০ জন এবং বেলাবো থেকে ৩ জন উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ৮টি ইউনিট কাজ করছে। আরও ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
এর আগে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিকেল পৌনে ৪টায় এই দুর্ঘটনা হয়েছে। উদ্ধারকারী দুটি ট্রেন একটি আখাউড়া ও একটি ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে।’ভৈরবে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ, ১৫ লাশ উদ্ধারভৈরবে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ, ১৫ লাশ উদ্ধার তিনি বলেন, ‘এগারসিন্দুর ট্রেনকে কনটেইনারবাহী ট্রেন এসে হিট করেছে। পার্শ্ব সংঘর্ষ বা সাইড কোলিশন হয়েছে। ডিজরিগার্ড অব সিগন্যালে (সিগন্যাল অমান্য) ছিল মালবাহী ট্রেনটি।’রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। এর আগমুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দু-তিনটি বগিতে কনটেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। এতে এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দু-তিনটি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
0 coment rios:
ধন্যবাদ, শেয়ার করুন।