মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

শিক্ষক নাহারুলের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার


নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষক নাহারুলের নামে মিথ্যাচার করার প্রতিবাদে জেলার শিক্ষক সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন,অপপ্রচার ও চাঁদা দাবি কারী মোঃ লান্টুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক ও সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গরা।চাঁদা অনাদায়ে এমন মানহানিকর অপপ্রচার চালানো ব্যক্তি মোঃ লাল্টুর এমন কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক নাহারুল ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।গত ০৮/১০/২০২৩ ইং তারিখে মিথ্যা প্রচারকারী মোঃ লাল্টু অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তার সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে এমন অভিযোগ দায়ের করে এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর ও প্রধান শিক্ষক, জিলা স্কুল কুষ্টিয়ায় দরখাস্ত প্রদান করেন, জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক নাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাত্ক্ষণিক বিষয়টির প্রমাণাদি সহ নজরে চলে আসে পেশাদার গনমাধ্যম কর্মীদের হাতে,গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এমন তথ্য আসার পর অনুসন্ধানে নামেন অনুসন্ধানী টিম,এরপর জানা যায় এর মূল রহস্য,উল্টে যায় অভিযোগ কারীর অভিযোগ, উঠে আসে চঞ্চল্যকর কিছু তথ্য, জানা যায় কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামের নাদের হোসেন প্রামানিকের ছেলে লাল্টু প্রামাণিক (৩৫)'র সাথে বিয়ে হয় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার দমদমা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা লিপি সুলতানা'র (৩৩)। তাদের একটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান হয়।সংসার শুরু থেকেই লাল্টু তার সহধর্মিণীর উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার জুলুম করতে থাকে, একটি সময় মেয়ের লেখাপড়ার জন্য জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক নাহারুল ইসলামের কাছে পড়ানোর জন্য নিয়ে আসেন তিনি, কিছুদিন পড়াতে থাকেন শিক্ষক নাহারুল। একদিন হঠাৎ করে লাল্টু তার সহধর্মিণীর আপন বড় বোনের স্বামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে দাবী করেন। তখন এই লাল্টুর সহধর্মিণী অসহায় নারী লিপি সুলতানা তার চরিত্রের উপর নিজের স্বামীর দেওয়া মিথ্যা কথা সহ্য করতে না পেরে, স্বামী লাল্টু প্রামাণিককে ১৮/০৫/২০২১ ইং তারিখে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পরে অদ্যাবধি তার পিতার বাড়িতে বসবাস করে চলেছেন, এমনটিই বক্তব্য অভিযোগকারী লাল্টুর তালাক প্রদানকারী সহধর্মিণী লিপি সুলতানার।এ বিষয়ে লিপি সুলতানা আরো বলেন আমার সন্তানের   শিক্ষক নাহারুল স্যারের বিরুদ্ধে আমার ডিভোর্স হয়ে যাওয়া প্রাক্তন স্বামী লাল্টু যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমার সাথে ওই শিক্ষকের কোন রকম অনৈতিক সম্পর্ক নেই,আর আমিতো লাল্টুর সঙ্গে এখন সংসার করিনা,অনেক আগেই আমাদের তালাক হয়ে গেছে! তাহলে কিভাবে লাল্টু দাবি করেন তার সংসার ভাঙ্গার উপক্রম হচ্ছে? আমার প্রাক্তন স্বামী লাল্টু একজন প্রতারক মিথ্যাবাদী ও নারী নির্যাতন কারী ব্যাক্তি। 



এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক নাহারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমার বিরুদ্ধে লাল্টু নামে একজন ব্যক্তি যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, আমার মানসম্মান নিয়ে যারা উঠেপড়ে লেগেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করার প্রস্তুতি অতিসত্বর আমি গ্রহণ করবো,আমার দীর্ঘদিনের শিক্ষক জীবনের সুনামক্ষুন্নকারী চক্রের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অভিযোগকারী লাল্টু'র সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার নাম্বারটিতে সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে কিছু অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর দ্বারা। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানের মধ্যদিয়ে শিক্ষক নাহারুল ব্যাপক সুনাম বয়ে এনেছে, ইতিমধ্যে সহকারী শিক্ষক নাহারুল ইসলাম প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষক। এদিকল মিথ্যা অপপ্রচার কারী লাল্টু সহ পুরো চক্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

ধন্যবাদ, শেয়ার করুন।